ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

মহেশখালীতে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি টাকার লবণ

মহেশখালী প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের মহেশখালীতে আচমকা বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের লবণের মাঠ। বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার লবণ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াধীন লবণ ভেসে যায়।

মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কুতুবজোম এলাকার লবণ চাষি আজিজ মিয়া ও রাসেল চকরিয়া নিউজকে বলেন, মাঠে প্রচুর লবণ ছিল। সকালে বৃষ্টিতে সব লবণ তলিয়ে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

হোয়ানক পানিরছড়ার লবণ চাষি জয়নাল আবেদীন চকরিয়া নিউজকে জানান, চলতি বছরে ১০ একর লবণ মাঠ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। লবণ চাষিদের সভা-সমাবেশের কারণে লবণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ এ বৃষ্টির কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকারও বেশ ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরপরই পুনরায় মাঠে নামার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে চাষিদের। লবণ চাষিদের ভাষ্য, বৃষ্টি হলেও এবার মৌসুম ভালো থাকলে লবণ উৎপাদন করে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে।

কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, গেল বছর লবণের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চাষিরা এ বছর সহায় সম্বল বিক্রি করে নেমে পড়েছেন লবণ চাষে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির কারণে কুতুবজোম ইউনিয়নের চাষিদের কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহির উদ্দীন চকরিয়া নিউজকে বলেন, নতুন বছরে লবণ উৎপাদনের শুরুতেই বৃষ্টিতে উপজেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও লবণের উৎপাদন ভালো হবে বলে জানান।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চকরিয়া নিউজকে মো. আবুল কালাম বলেন, লবণ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে অনাবাদি মাঠও চাষের আওতায় আসছে। তাই লবণ উৎপাদন নিয়ে সংকটে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

পাঠকের মতামত: